* পাইকারি পর্যায়ে বগুড়ার মহাস্থান হাটে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীতে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
* প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে
* বেগুন কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীতে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
আন্দোলনে সরকার বদল হলেও চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট তৎপরতা থেকে মুক্তি পায়নি দেশের মানুষ। শুধুমাত্র হাত ও ভোল বদল হয়েছে। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন সফলতা আসছে না। ফলে এর প্রভাবে বাজারগুলোতে হু হু করে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বিগত সরকারের পতনের পর মাসখানেক বন্ধ থাকলেও সিন্ডিকেট আর চাঁদাবাজরা ভোল পাল্টে আবারো সক্রিয় হওয়ায় চাল, পেঁয়াজ, আলু, রসুন, মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকার শুল্ক ও কর ছাড়ের মতো বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও সুবিধা লুটে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এখন চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। শুধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতবদল হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাইকারি পর্যায়ে বগুড়ার মহাস্থান হাটে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীতে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীতে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাটে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়, রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাটের আড়তদারদের মতে, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমে এসেছে দাম। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে একটি মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য বড় যানবাহন ঢাকায় ঢুকলে একাধিক স্থানে চাঁদা দিতে হয়। আবার ঢাকায় ঢোকার পর ওই পরিবহনকেই আরো একাধিক স্থানে চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন বাজার ও স্ট্যান্ডে যেতে হয়। প্রতিটি স্থানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয় চাঁদাবাজরা। সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার পণ্যমূল্য ক্রেতাসাধারণের নাগালে আনতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বাজারে বাজারে চলছে অভিযান। কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট তৎপরতা থামছে না। বরং ওই চক্র বৃদ্ধাঙ্গলি দেখাচ্ছে সরকারের উদ্যোগকে। অথচ বিগত সরকারের পদত্যাগের পর নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে আবার দাম বাড়তে শুরু হয়। বাজারের পুরনো খেলোয়াড়রা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদিকে এ প্রসঙ্গে অতিসম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ কিছু করতে পারবে না। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সমাজ থেকে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। আপনারা চাঁদা দেবেন না, যারা চাঁদা নিতে আসে তারা কিভাবে চাঁদা নেয় সেটা আমরা দেখব। চাঁদাবাজির জন্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সম্প্রতি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বাড়ে। সমবায় পদ্ধতি এখনো দেশে চালু করা হয়নি। চার থেকে পাঁচ হাত বদলে দাম বাড়ছে পণ্যের। তবে সমবায় পদ্ধতি অবলম্বন করলে বাজারে এই অস্থিরতা থাকতো না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
নিত্যপণ্যের বাজারে কমেনি সিন্ডিকেটের তৎপরতা
- আপলোড সময় : ১৯-১২-২০২৪ ০৯:৫৩:৩১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-১২-২০২৪ ০৯:৫৩:৩১ অপরাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ